শরীকের মাসায়েল 

  • বকরী খাসী,পাঠা, ভেড়া, ভেড়ী ও দুম্বায় এক জনের বেশী শরীক হয়ে কুরবানি করা যায় না। এগুলো একটা একজনের নামেই কোরবানী হতে পারে।
  • একটা গরু, মহিষ ও উটে সর্বোচ্চ সাতজন শরীক হতে পারে। সাতজন হওয়া জরুরী নয়-দুইজন বা তিনজন বা চারজন বা পাঁচজন বা ছয়জন কোরবানী দিতে পারে,তবে কারও অংশ সাত ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম হতে পারবে না।
  • যে পশুর একটিও দাঁত নেই তা দ্বারা কোরবানী হবে না। তবে দাঁত না থাকা সত্ত্বেও ঘাস খেতে সক্ষম হলে তা দ্বারা কোরবানী করা যাবে।
  • মৃতের নামেও কোরবানী হতে পারে।
  • রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তার বিবিগণ বুজুর্গদের নামেও কোরবানী হতে পারে।
  • যে ব্যক্তি খাটি অন্তরে আল্লাহ্'র উদ্দেশ্যে কুরবানি করে না বরং গোশত খাওয়া বা লোক দেখানো ইত্যাদি নিয়তে কোরবানী করে, তাকে অংশীদার বানিয়ে কোন পশু কুরবানি করলে সকল অংশীদারের কোরবানী-ই নষ্ট হয়ে যায়।তাই শরীক নির্বাচনের সময় খুবই সতর্ক থাকা দরকার।
  • কোরবানীর পশু ক্রয় করার সময় শরীক রাখার এরাদা ছিল না,পরে শরীক গ্রহণ করতে চাইলে ক্রেতা গরীব হলে তা পারবে না, অন্যথায় পারবে।
  • যার সমস্ত উপার্জন বা অধিকাংশ উপার্জন হারাম, তাকে শরীক করে কোরবানী করলে অন্যান্য সকল শরীকের কোরবানী অশুদ্ধ হয়ে যাবে।