কোরবানীর জন্তুর স্বাস্থ্যগত অবস্থা প্রসঙ্গে

  • কোরবানীর পশু ভাল এবং হৃষ্ট-পুষ্ট হওয়া উত্তম|
  • যে প্রাণী লেংড়া অর্থাৎ যা তিন পায়ে চলতে পারে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা রাখতে পারলেও তার উপর ভর করতে পারে না - এরূপ পশু দ্বারা কোরবানী জায়েজ নয়।
  • যে পশুর একটিও দাঁত নেই তা দ্বারা কোরবানী হবে না। তবে দাঁত না থাকা সত্ত্বেও ঘাস খেতে সক্ষম হলে তা দ্বারা কোরবানী করা যাবে।
  • যে পশুর কান জন্ম থেকেই নেই তা দ্বারা কোরবানী হবে না। তবে কান ছোট হলে অসুবিধা নেই।
  • যে পশুর শিং মূল থেকে ভেঙ্গে যায় তা দ্বারা কোরবানী হবে না। তবে শিং ওঠেইনি বা কিছু পরিমাণ ভেঙ্গে গিয়েছে এরূপ পশুর কোরবানী করা যাবে।
  • যে পশুর উভয় চোখ অন্ধ বা একটি চোখ পূর্ণ অন্ধ বা একটি চোখের দৃষ্টি শক্তি এক তৃতীয়াংশের বেশী নষ্ট তা দ্বারা কোরবানী দুরস্ত নয়।
  • যে পশুর একটি কান বা লেজের এক তৃতীয়াংশের চেয়ে বেশী কেটে গিয়েছে তা দ্বারা কোরবানী হবে না।
  • অতিশয় কৃশকায় ও দুর্বল পশু যার এতটুকু শক্তি নেই যে, জবেহের স্থান পর্যন্ত হেটে যেতে পারে তা দ্বারা কোরবানী হবে না।
  • ভাল পশু ক্রয় করার পর এমন দোষ ত্রূটি দেখা দিয়েছে যার কারণে কোরবানী হবে না। এরূপ হলে এ জন্তুটি রেখে আর একটি ক্রয় করে কোরবানী করতে হবে। তবে ক্রেতা গরীব হলে সেটিই কোরবানী দিতে পারবে।
  • গর্ভবতী পশু কোরবানী করা জায়েজ। যদি পেটের বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তবে সে বাচ্চাও জবেহ করে দিবে। তবে প্রসবের নিকটবর্তী হলে সেরূপ গর্ভবতী পশু কোরবানী দেয়া মাকরূহ।
  • বন্ধ্যা পশু কোরবানী করা জায়েজ।