সেহেরি ও ইফতারের দোআ

আরবিতে রোজাকে সাওম বলা হয়। এর আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। ইসলামের পরিভাষায় রোজা বলা হয়—রোজার উপযুক্ত ব্যক্তিকে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজার নিয়তে খানাপিনা, স্ত্রীসম্ভোগ এবং এসব সম্পর্কিত বিষয় থেকে বিরত থাকা।

 

রোজার নিয়ত সংক্রান্ত মাসায়েল

•মুখে নিয়ত করা জরুরি নয়, অন্তরে নিয়ত করলেই যথেষ্ট হবে। তবে মুখে নিয়ত করা উত্তম।

•নিয়ত আরবিতে হওয়া জরুরি নয়। যেকোনো ভাষায় নিয়ত করা যায়। নিয়ত এভাবে করা যায়—আমি আজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম।

•সূর্য হেলে পড়ার দেড় ঘণ্টা আগ পর্যন্ত রমজানের রোজার নিয়ত করা বৈধ। তবে রাতে নিয়ত করাই উত্তম।

•রমজানে রোজা রাখার উদ্দেশ্যে খাওয়াটাই নিয়ত। যদি কোনো কিছু খাওয়া অথবা পান করা না হয়, তাহলে সূর্য হেলে পড়ার দেড় ঘণ্টার আগেই নিয়ত করে নেবে।

•যদি কেউ সূর্য হেলে পড়ার আগে নিয়ত করে যে আমি এই সময় থেকে রোজাদার, তাহলে তার রোজা শুদ্ধ হবে না।

•হানাফি মাজহাব মতে, নিয়ত ছাড়া রোজা শুদ্ধ হয় না।

•প্রতিটি রোজার জন্য পৃথক পৃথক নিয়ত করা আবশ্যক। সব রোজার জন্য প্রথম রোজার নিয়ত যথেষ্ট নয়।

 

সাহরি সংক্রান্ত মাসায়েল

•সন্দেহ হয়, এমন সময় সাহরি খাওয়া মাকরুহ।

•সঠিক ক্যালেন্ডারে সুবহে সাদিকের যে সময় দেওয়া থাকে, তার দু-চার মিনিট আগে খানা বন্ধ করে দেবে। এক-দুই মিনিট আগে-পিছে হলে রোজা হয়ে যাবে, তবে ১০ মিনিট পর খাওয়ার দ্বারা রোজা হবে না

•নিদ্রার কারণে সাহরি না খেতে পারলেও রোজা রাখতে হবে। সাহরি না খেতে পারায় রোজা না রাখা অত্যন্ত পাপ।

 

ইফতারের মাসায়েল

•ইফতারের সময় নিম্নোক্ত দোয়া পড়া : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজিককা আফ্তারতু।

•সূর্যাস্ত হয়ে যাওয়ার পর তাড়াতাড়ি ইফতার করা মুস্তাহাব। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৩)

•যদি সূর্যাস্তে সন্দেহ হয়, তাহলে ইফতার করা উচিত হবে না।